ওজন কমাতে লেবু পানি খাওয়া খুবই জনপ্রিয় একটি পদ্ধতি ।লেবু পানি ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং মেটাবলিজম বাড়ায় বিপাকক্রিয়ার হার বাড়াতে সাহায্য করে । সকালে খালি পেটে ৪০০ মিলিলিটার পানি খান লেবু পানির বদলে লেবুর খোসা চিবিয়ে খেলেও হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে । সকালে খালি পেটে লেবু পানি খেলে ক্ষুধা কম লাগে ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয় সারাদিন সতেজ থাকতে এবং কোষ্টকাঠিন্য দূর করতে খুবই কার্যকর ভূমিকা পালন করে লেবু পানি লেবু পানি খাওয়ার সঠিক নিয়ম অনুসরণ করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায় চলুন জেনে নেওয়া যাক লেবু পানি খাওয়ার নিয়মঃ
১/ সকালে খালি পেটেঃ শরীরকে সতেজ ও মেটাবলিজম বাড়াতে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কুসুম গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন সকালে নাস্তা করার ৩০ মিনিট পূর্বে লেবু পানি খাওয়া যেতে পারে ।
২/ খাওয়ার আগেঃ খাওয়ার আগে লেবু পানি খেলে ক্ষুধা কমিয়ে দেয় যা ওজন কমাতে সাহায্য করে লেবু পানি পানি শূন্যতা দূর করে এবং শরীরকে সতেজ রাখে ।
৩/মধু যোগ করুনঃ শরীরের ফ্যাট কমাতে লেবু পানিতে মধুযোগ করুন লেবু পানিতে এক চামচ মধুর যোগ করুন যা স্বাদ বাড়াতে সাহায্য করবে ।
৪/ গরম বা কুসুম গরম পানি ব্যবহার করুনঃ গরম পানি মেটাবলিজম বাড়াতে বেশি কার্যকরী তাই গরম পানিতে লেবু মিশিয়ে পান করুন ।
৫/ চিনি এড়িয়ে চলুনঃ চিনি ওজন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে তাই লেবু পানিতে চিনি ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন ।
৬/ নিয়মিত পান করুনঃ শরীরকে হাইড্রেট ও হজম শক্তি বাড়াতে নিয়মিত লেবু পানি পান করুন ।
৭/ শরীরচর্চাঃ লেবু পানি খাওয়ার পাশাপাশি নিয়মিত শরীর চর্চা করতে হবে নিয়মিত শরীরচর্চা ওজন কমাতে সহায়তা করে ।
Table of Contents
লেবু পানির উপকারিতা
১/ লেবু পানি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে ।
গ্যাসের সমস্যা দূর করার ঘরোয়া উপায়
২/ লেবু পানি শরীর হতে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয় ।
৩/ ভিটামিন সি এর ঘাটতি পূরণ করে লেবু পানি ।
৪/ হজম শক্তি বাড়াতে কাজ করে লেবু পানি ।
৫/ লেবু পানি পান করলে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমে ।
ভরা পেটে লেবু পানি খাওয়ার উপকারিতা
ভরা পেটে চেয়ে খালি পেটে লেবু পানি খাওয়ার কার্যকারিতা বেশি, ভরা পেটে লেবু পানি খেলে হজমে সহায়তা করে শরীরে পানির ভারসাম্য রক্ষা করে লেবুর ভিটামিন সি টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে ।
খালি পেটে ঠান্ডা পানিতে লেবু খাওয়ার উপকারিতা
খালি পেটে ঠান্ডা পানিতে লেবু খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে, ওজন কমাতে সহায়তা করে, চামড়ার উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে, ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে ,হাইড্রেশন বজায় রাখতে সাহায্য করে ।
কুসুম গরম পানিতে লেবু ও মধু খাওয়ার উপকারিতা
কুসুম গরম পানিতে লেবু ও মধু খেলে যেসব স্বাস্থ্যগত উপকারিতা পাওয়া যায় তাহলে ওজন কমাতে সাহায্য করে, হজমশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে, দেহ থেকে টক্সিন দূর করে ,ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে, শ্বাসকষ্টের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে ।
প্রতিদিন কতটুকু লেবু খাওয়া উচিত
খাদ্যাভ্যাস ব্যক্তিগত পছন্দ স্বাস্থ্য পরিস্থিতি তাদের উপর নির্ভর করে প্রতিদিন লেবু খাবার নির্দিষ্ট পরিমাণ তবে প্রতিদিন একটি অথবা অর্ধেক লেবু খাওয়া যেতে পারে এর চেয়ে বেশি খেলে গ্যাস্ট্রিক অথবা হজমের সমস্যা হতে পারে ।
লেবু পানি খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা
১/ লেবু পানিতে রয়েছে সাইট্রিক এসিড তাই যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে তারা তারা লেবু পানি খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন ।
We are in Medium! click here
২/ অতিরিক্ত লেবু পানি অ্যাসিডিটি সমস্যা তৈরি করতে পারে তাই দিনে দুইবারের বেশি লেবু পানি পান করা যাবে না ।
৩/ লেবুতে থাকা অতিরিক্ত ভিটামিন সি দাঁতের এনামেল এর ক্ষতি করতে পারে তার লেবু পানি খাওয়ার পর কুলি করে মুখ পরিষ্কার করতে হবে ।
গরম পানিতে লেবু খেলে কি চর্বি কমে ?
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে গরম পানির সঙ্গে লেবু মিশিয়ে খেলে শরীরের ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে ।
লেবু পানি কখন খাওয়া উচিত ?
আপনি যে কোন সময় লেবু পানি পান করতে পারেন তবে সকালে খালি পেটে লেবু পানি খেলে শরীর হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করে ।
৭ দিন লেবু পানি খেলে কি হয়?
সাত দিন লেবু পানি খাওয়ার ফলে শরীরে ইতিবাচক প্রভাব দেখতে পাওয়া যাবে যেমনঃ ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ ভিটামিন সি সরবরাহ হজম শক্তি বৃদ্ধি ওজন কমানো ইত্যাদি উপকারিতা পাওয়া যাবে ।
পরিশেষে বলা যায় ওজন কমাতে লেবু পানি খুবই কার্যকর ভূমিকা পালন করে আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি ,বিপাক বাড়াতে, শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে, প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কুসুম গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন। সঠিক খাদ্যবাস, ব্যায়াম ,নিয়মিত লেবু পানি পান করলে ওজন কমাতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে ।
আরো পড়ুনঃ ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কেন